Logo
Headline :
আজ থেকে সারাদেশ মোবাইলে ফোর-জি চালু, বন্ধ থাকবে শুধু ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ আর টিকটক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতায় নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে সঞ্চয়পত্র ও নগদ অর্থ প্রধান শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ দুষ্কৃতকারীরা যেখানেই থাকুক, তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে: আইজিপি আজ রাতের মধ্যেই বাসা-বাড়িতে চালু হতে পারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট: আইএসপিএবি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ, ৫৭ জনকে পাঠানো হয়েছে জেলে আন্দোলন থামাতে আরও কঠোর হবে: শেখ হাসিনা Porimoni video is viral again সুদূর কাতার থেকে এসে বাংলাদেশি ছেলেকে বিয়ে করলেন ফিলিপাইনি এক তরুণী

আন্দোলন থামাতে আরও কঠোর হবে: শেখ হাসিনা

Reporter Name 50 Time View
Update : Tuesday, July 23, 2024

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও আন্দোলন কেন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, ছাত্রেরা যা চেয়েছিলেন, আদালতের রায়ে সেটাই রয়েছে।

 

কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে অশান্ত ভারতের পড়শি দেশ। পড়ুয়াদের আন্দোলন রুখতে প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’র প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেন, আন্দোলন থামাতে আরও কঠিন পথে হাঁটতে হতে পারে তাঁর সরকার। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ-ও জানান, যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।

 

টানা আন্দোলনের জেরে রাজধানী ঢাকা-সহ সারাদেশের একটা বড় অংশ বন্ধ হয়ে আছে। ঢাকার মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে না। সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন এবং মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। স্কুল-কলেজে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। রাস্তায় রাস্তায় সেনা টহল দিচ্ছে। জারি করা হয়েছে কার্ফু। এর ফলে সারাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়েছে। শিল্প-কারখানা সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এমন অবস্থায় সোমবার বাংলাদেশের রফতানিকারী ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলিকে নিয়ে নিজের দফতর গণভবনে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।

 

সেই বৈঠকেই দেশের চলমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথাও বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘‘দ্রুতই অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমরা এখন পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত করে এনেছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কার্ফু শিথিল করা হবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা দাবি করেন, ছাত্রদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে বিরোধীরা দেশের ক্ষতি করছেন। দেশের ভাবমূর্তি ফেরানো এবং শান্তি ফিরিয়ে আনাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা চালু করেছিল। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছিল। অন্যান্য ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে আরও ২৬ শতাংশ কোটা ছিল। সেই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলন অনেক দিনের। ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাত জন হাই কোর্টে মামলা করেন। পরে হাই কোর্ট শেখ হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। তার পর আবারও শুরু হয় আন্দোলন। সরকার হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। গত রবিবার সেই মামলায় রায় দেয় আদালত। রায়ে উল্লেখ করে, সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে মাত্র সাত শতাংশ। বাকি নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এমনকি, আন্দোলনকারীরাও আদালতের রায় নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন। তবে তাঁরা আন্দোলন থেকে এখনই যে সরে আসবেন না, তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা এখন দাবি করছেন, আন্দোলনে পড়ুয়াদের মৃত্যুর নেপথ্যে দায়ী যাঁরা, তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর তা না হলে তার আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে না বলে জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com